আবু পলাশঃ [মঙ্গলবার, ০৩ এপ্রিল ২০১২] কোটিপতি
হওয়ার স্বপ্ন দেখে ডেসটিনির সাথে যুক্ত হওয়া কুমিল্লাসহ
সারা লাকসাম, নাঙ্গোকোট, মনহরগঞ্জের হাজার হাজার বেকার তরুণ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কোম্পানিটির
ফাঁদে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাকরিজীবী, আইনজীবী,
শিক্ষকসহ বিভিন্ন
পেশাজীবীরাও । কেউ কেউ বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরতের জন্য ধর্না দিতে শুরু
করেছেন। কুমিল্লা ডেসটিনি কার্যালয়ে কমে গেছে পণ্য বিক্রি। আতঙ্কিত হয়ে
পড়েছেন নতুন গ্রাহকরাও। গত কয়েক দিনে জাতীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ডেসটিনি-২০০০
লি. এর অনিয়ম-দুর্নীতির খবর প্রকাশ..
এবং সর্বশেষ খবরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেসটিনির বিষয়ে সর্ব সাধারণকে সর্তক থাকার নির্দেশনা জারির পর গ্রাহকরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। কিন্তু গ্রাহকদের এই উদ্বেগ কাটাতে অনেকটা ব্যর্থ-হতাশ ডেসটিনি বিনিয়োগকারী, পিএসডি পদকপ্রাপ্ত ও শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেশ চিন্তিত। এক গ্রাহকের সাথে কথা বলতে চাইলে উনি জানান, জাতীয় পত্র-পত্রিকা যে ভাবে লেখা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কি যে হয় তা বুঝা যাচ্ছে না। অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সেগুলো ফেরত পাওয়া যাবে কিনা ইত্যাদি।
এবং সর্বশেষ খবরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেসটিনির বিষয়ে সর্ব সাধারণকে সর্তক থাকার নির্দেশনা জারির পর গ্রাহকরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। কিন্তু গ্রাহকদের এই উদ্বেগ কাটাতে অনেকটা ব্যর্থ-হতাশ ডেসটিনি বিনিয়োগকারী, পিএসডি পদকপ্রাপ্ত ও শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেশ চিন্তিত। এক গ্রাহকের সাথে কথা বলতে চাইলে উনি জানান, জাতীয় পত্র-পত্রিকা যে ভাবে লেখা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কি যে হয় তা বুঝা যাচ্ছে না। অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সেগুলো ফেরত পাওয়া যাবে কিনা ইত্যাদি।
অবসর প্রাপ্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবদুল মান্নান বলেন,
সরকারের দায়িত্বহীনতার
কারণে জনগণ সাইনবোর্ড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ঠকছে। গত রবিবার বিকেল ৫ টায় রেইসকোর্স চৌধুরী প্লাজায় ডেসটিনি-২০০০ লি. পণ্য বিতরণ
শাখায় ম্যানেজার এন এইচ আবল্লাহ চৌধুরী সাথে কথা হলে তিনি জানান,
সাংবাদিকরা পত্রপত্রিকায়
লেখালেখী করে ডেসটিনি কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে
না। ডিসটিনি সর্ম্পকে জেনে
প্রকৃত বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে না। ডেসটিনি হচ্ছে
বেকার যুবকদের কর্মস্থল। তিনি
আরো বলেন,পত্রপত্রিকায় লেখালেখী পরও আজ কয়েক
লাখ টাকার মত পন্য
ডিস্ট্রিবিউশন হয়েছে। তবে পূর্বে দিনের চেয়ে নগদ বিক্রি
একটু কম হয়েছে । ডেসটিনি
গ্রাহকদের যেসব পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয় সেসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স
সামগ্রী, স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার, হেলথ কেয়ার,
নাইজেল
হারবার,
মহিলাদের স্কিন হোড হারবাল,
টিভি,
ফ্রিজ,
হারবাল অ্যান্ড ফুড সাপ্লিমেন্ট,
সয়ামিল্ক,
রোজ ফাইবার,
জিনজার চা এবং ট্রি পান্টেশন
ইত্যাদি। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি
রেজাউল হক আখি জানান, দেশের শেয়ার বাজারে গত এক বছরে উপরে যে ধস নেমেছে তার কারন হচ্ছে
ডেসটিনি । বিনিয়োগকারীরা অধিক লাভের আশায় অর্থ বিনিয়োগ করে ডেসটিনিতে।
ডেসটিনিও একটি হায় হায় কোম্পানি। এটির বিষয়ে কোনো স্বচ্ছতা আছে বলে
মনে হয় না। বেকারদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে
কথা হয় ডেসটিনি কুমিল্লা অফিসের সমন্বয়ক ফয়সল সুলতান সাথে তিনি জানান,
দেশের জাতীয় পত্রিকায় কিছু
সাংবাদিক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। আমরা
বেকার যুবকদের স্বপ্ন দেখিয়ে নাকি কোটি কোটি
টাকা হাতিয়ে নিচ্ছি। ক্রেতার
বাজার থেকে যে ভাবে পণ্য কিনে ডেসটিনিতে গ্রাহকরা সে ভাবে পন্য কিনে।
যারা অধিক লাভ করতে চায় তারা একটি সার্কেল
তৈরি করতে পারলে অনেক টাকা আয়
করা।
লাকসামের
পিএসডি গাজিউল হক আমাদের লাকসামকে বলেন, আমরা সরকারকে প্রতি বছরে রাজস্ব দিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ১৫০টি শাখা রয়েছে। আমরা এদেশের বিপিএল ক্রিকেটে
সাড়ে ৭ কোটি টাকা স্পন্সর করেছি। আমার দেশের বিভিন্ন সামাজিক কাজে আর্থিক
অনুদান দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, ডেসটিনি ধসে যায়নি। আমাদের কাজ ঠিকে
চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, যারা নতুন ট্রেনিংয়ের জন্য আসছে তাদের মধ্যে কিছুটা
ভীতির সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন
টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ডেস্টিনির বিপক্ষে খবর প্রকাশ করায় ডেস্টিনির এমডিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসকল খবরের
প্রতিবাদ করে বলেন, ডেস্টিনি ব্যাংকিং নয় মাল্টিপারপাস সিস্টেমে কার্যাবলী সম্পন্ন
করে তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন ছিলো না।,প্রয়োজন সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি । নতুনভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক
সকল মাল্টিপারপাসকেই এখন অনুমতির আওতায় আনতে চায়,তার মধ্যে ডেস্টিনির নাম থাকায়
পত্র-পত্রিকাগুলো পিছু লেগেছে।ডেস্টিনি অবৈধভাবে মার্কেটিং করেনি। এখনকার নতুন
নিয়মানুসারে ডেস্টিনিকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় থাকতে হবে তাই ভাবা হচ্ছে।
লাকসাম, মনোহরগঞ্জ
ও নাঙ্গোলকোটে ডেস্টিনির ৪০০০০-৫০০০০ ডিস্ট্রিবিউটর আছেন যাদের মধ্যে ৩৫০০-৪০০০
বেকার কর্মসংস্থানের ঠিকানা হিসেবে পায় এই ডেস্টিনিতে। এখন আমাদের প্রশ্ন, ডেস্টিনি যদি
অবৈধ হয়, তবে এই ৩৫০০-৪০০০ যুবক আবার বেকার হয়ে যাবে এদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে
দিবে কে ??????? এর আশু সমাধানের অপেক্ষায় বৃহত্তর লাকসামসহ সারা দেশবাসী।
সম্পাদনা : সোনিয়া সাহা , আউটপুট এডিটর
সম্পাদনা : সোনিয়া সাহা , আউটপুট এডিটর